Dinamkhobar

Post Top Ad

Saturday, August 27, 2022

হুড়া গার্ল্স হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ১৯ জন ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ।

 

হুড়া গার্ল্স হাই স্কুলের বিদ্যালয়ে পাঠরতা একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ চরম অন্ধকারে। ২০২২ শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণীতে পাঠরতা ১৯ জন ছাত্রীর মধ্যে ৬ জন হোস্টেলে থেকে এবং বাকিরা আসা যাওয়া করে পড়াশোনা করে। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অভিভাবকদের নিয়ে এসে বিদ্যালয় থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে অন্য কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হাওয়ার জন্যে ছাত্রীদের জানান কারণ হিসেবে বলেন যে ছাত্রীদের একাদশ শ্রেণীর উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি নেই। এই অবস্থায় কিছু অভিভাবক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে নেন তবে হোস্টেলের ছয় জন ছাত্রী এখনো ওই বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করতে চাইছে। আবার যারা ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে নিয়েছে তাদের দুরবস্থা দেখেও বাকিরা অন্য বিদ্যালয়ে যেতে চাইছে না। ছাত্রীদের অভিভাবকদের একাংশ আক্ষেপের সুরে বলেন "একটা রানিং স্কুলের বিদ্যালয় প্রধান কোন অর্ডারে বলেন রেজিস্ট্রেশন করাতে পারব না অথবা অনুমতি নেই?" সমগ্র ঘটনাটি আদিবাসী ছাত্রীদের পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটানোর শামিল বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। উল্লেখ্য আজ ২৬ শে অগাস্ট থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল খুলে যাচ্ছে। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আদিবাসীরা আজ পুরুলিয়া জেলার হুড়া উন্নয়ন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক সরাসরি ভাবেই বলেন বিষয়টি তার এক্তিয়ার ভুক্ত নয় এবং হুড়া ব্লকের এক নম্বর চক্রের এসআইয়ের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন। এরপর আদিবাসীরা এই দিনেই হুড়া ব্লকের এক নম্বর চক্রের এসআইয়ের সঙ্গে দেখা করলেও সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এই বিষয়ে কোনো সাহায্য করতে পারবেন না বলে জানান এবং আদিবাসীদের বিষয়টি নিয়ে পুরুলিয়ার ডিআই এর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন। সমগ্র ঘটনায় আদিবাসীদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ দানা বেঁধেছে, একই সঙ্গে যে সকল ছাত্রীরা এখনো সেই বিদ্যালয়ে পাঠরতা তারা অকূল পাথারে পড়েছে। আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন মনসারাম টুডু, কাশীনাথ সিং সর্দার, ইন্দ্রনারায়ণ টুডু, হারাধন রুইদাস, স্বপন রুইদাস প্রমুখেরা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad