বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আদিবাসীদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন। সমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে আদিবাসীদের পাট্টা দেওয়া কাজটি বিশেষ গুরুত্ব করে দেখা হচ্ছে। আদিবাসীদের জাহের থান (দেবস্থান) ও বাস্তুভিটার পাট্টা দেওয়া কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের পাট্টা দেওয়ার কাজটি বিশেষ গুরুত্ব করে দেখছেন। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে আদিবাসীদের হাতে সরাসরি পাট্টা তুলে দিয়েছেন এমন চিত্র অনেক সময় লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু এরই মধ্যে সম্পূর্ণ আলাদা চিত্র লক্ষ্য করা গেল। আদিবাসীরা পাট্টা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও পাট্টা পাননি এমনটি আদিবাসীরা অভিযোগ করেন।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকে। এনিয়ে আদিবাসি সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ১৩ই জুন ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আদিবাসী সংগঠনের দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয়। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে এদিন ভূমি আধিকারিকদের সঙ্গে আদিবাসী সংগঠন দেখা করেন। আদিবাসী সংগঠনের দাবি ২০১৪ সাল থেকে এলাকার অধিবাসীরা পাট্টার দাবিতে আবেদন করেও কোনো ফল হয়নি। পাট্টার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র ভূমি দপ্তরের জমা দেওয়া হয়েছিল। সেগুলিও ভূমি দপ্তর থেকে নিখোঁজ হয়েছে এমনটি দাবি আদিবাসী সংগঠনের। এনিয়ে ভূমি দপ্তরে পাট্টা জন্য বারবার কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য আদিবাসীদের কে বলা হয়। কিন্তু তবুও আদিবাসীরা পাট্টা পায়নি এমনটি দাবি আদিবাসী সংগঠনের। সংগঠনের পক্ষ থেকে এটাও জানা যায় ১৫ দিনের মধ্যে ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা সমস্যার সমাধান না করলে অনির্দিষ্টকালীন ভূমিদপ্তর ঘেরাও করা হবে বলেও জানা যায়।

No comments:
Post a Comment