সারা রাজ্য জুড়ে ফেক এসটি সার্টিফিকেটধারী প্রভাব বিস্তার করেছে বলে অভিযোগ আনছে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লিস্ট থেকে শুরু করে মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ টিচার্স ট্রেনিং বা নার্সিং এর ক্ষেত্রে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত তালিকাতে অ-আদিবাসীদের স্থান পেতে দেখা যাচ্ছে। একই রকমভাবে চাকরির ক্ষেত্র গুলোতেও আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত তালিকায় অ-আদিবাসীদের নাম ভুরিভুরি দেখা যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি মূলক ক্ষেত্রগুলোতেও আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে অ-আদিবাসীরা যেনতেন প্রকারে এসটি সার্টিফিকেট হাতিয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছে। অ-আদিবাসীদের এজাতীয় কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে ও প্রশাসনিক দপ্তরের সাথে সাথে আদিবাসী জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। যদিও শুকনো আশ্বাসবার্তা ছাড়া তেমন কিছুই মেলেনি বলে অভিযোগ করেছে আদিবাসীরা। ফেক এসটি সার্টিফিকেটধারী দের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের জন্য সারা রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই সতেরোটি জেলাতে জেলা কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। গত ঊনিশ এবং কুড়ি মার্চ ২০২২ দ্বিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলনের পর থেকেই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লক কমিটি গঠন করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে তারা। আজ ১২ই জুন রবিবার পুরুলিয়ার সাঁতুড়িতে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির ব্লক কমিটি গঠন করা হলো। সাঁতুড়ির ব্লক কমিটি গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ সম্পাদক প্রশান্ত মান্ডি, পুরুলিয়া জেলা শাখার সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মাহালি, পুরুলিয়া জেলা আইটি সেলের চেয়ারম্যান ও বান্দোয়ান ব্লক কমিটির সভাপতি ধনঞ্জয় হেমব্রম, নিতুড়িয়া ব্লক থেকে মনসা সরেন, সাঁতুড়ী ব্লক বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নন্দলাল টুডু, সরমা মুর্মু, ঠাকুরদাস মুর্মু, সাদেশ্বর মাহালী, হপন মাহালী, প্রমুখরা। নবগঠিত সাঁতুড়ী ব্লক কমিটির সভাপতি গনেশ চন্দ্র টডু, সহ সভাপতি শুকুলদেব মুর্মু, সম্পাদক লক্ষীনারায়ণ মান্ডি, সহ সম্পাদক সাদেশ্বর মাহালী, কোষাধ্যক্ষ বাবলু মুর্মু এবং উপদেষ্টা কমিটিতে প্রমথনাথ মুর্মু, সরমা মুর্মু, আনন্দ মান্ডি, শ্যামলাল হাঁসদা, স্বপন মাহালী মনোনীত হলেন।

No comments:
Post a Comment